Breaking News

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সুখবর! জেনে নিন

যে রোগটি আপনাকে তিলে তিলে শেষ করে দেবে সেটি কি মরণঘাতী ক্যান্সার আর এইডসের চেয়ে কম! কিডনি, চোখ থেকে শুরু করে শরীরের কোনো অংশই বাদ থাকে না ডায়াবেটিসের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে। অথচ এই গুপ্তঘাতক রোগটি নিরাময়ের ব্যবস্থা আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে নেই। তবে কি ডায়াবেটিস মানেই জীবন শেষ? নাহ, প্রকৃতিতে লুকিয়ে আছে সব সমস্যার সমাধান। শুধু চিনে নেওয়ার দায়িত্ব আপনার।

চীনে খুঁজে পাওয়া গেছে গায়নুরা প্রোকম্বেন্স (Gynura Procumbens) নামক একটি গাছ। যার ওষুধিগুণ ইতোমধ্যে সারাবিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। গাছটির পাতা ডায়াবেটিস ও ব্লাড প্রেশার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখে।আমেরিকা, সিঙ্গাপুর, চীন, মালয়েশিয়া, দুবাই, ইন্ডিয়া, থাইল্যান্ড পেরিয়ে বাংলাদেশেও এসেছে গাছটি। বাণিজ্যিকভাবে গাছটি বাংলাদেশে আমদানি ও বিক্রিতে কাজ করছে অনুভব ফাউন্ডেশন। গাছ পরিচিতি
বোটানিক্যাল নাম : Gynura Procumbens
উৎপত্তিস্থল : চীন। একে Dibetics, HTN and Elevated levels of cholesterol and triglycerides এর জন্য Wonder Herb বলে মনে করা হয়।
উপকারিতা
গাছটির ২ টি পাতা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে সেবনে শুধু সুগার ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণই নয় তরতাজা রাখে কিডনি ও লিভার এবং রোধ করে ব্লাড প্রেশার। এই গাছের রস ও পাতার গুঁড়া চায়ের মতো সেবনে ডায়াবেটিস ও প্রেশার থাকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। সুগার স্বাভাবিক মাত্রার তুলনায় আরো কমিয়ে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার বিপদ ডেকে আনে না।
ব্যবহারবিধি
যাদের ডায়াবেটিস, প্রেশার ও কোলেস্টেরল আছে, তাদের প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ২টি পাতা ও রাতে শোবার আগে ২টি পাতা সেবন করতে হবে।
এই গাছের পাতা খেয়ে উপকৃত হয়ে মেজর হোসাইন মুহাম্মদ জাকির গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এটা খুব চমৎকার কাজ করে। সাত বছর আগে আমার ডায়াবেটিস ১১ ধরা পড়ে। সুইজারল্যান্ড থেকে এই গাছটি পাবার পর আমি আর কখনো ওষুধ গ্রহণ করিনি।’
তিনি আরো বলেন, ‘এটা খেয়ে আমার ডায়াবেটিস সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। আমি এখন কোনো বাধা নিষেধ মানি না, জীবন ভালোভাবে উপভোগ করছি। আমার পরিবারের বয়স্ক সদস্যরাও ইনসুলিন নেওয়া বন্ধ করেছেন। এই গাছের পাতা হার্টের রোগেও ভালো কাজ করে।’
খুলনা জেলার ফুলতলা উপজেলার গাড়াখোলা গ্রামের ডায়াবেটিস আক্রান্ত শাহিন মোড়ল (৪০) জানান, নিয়মিত গায়নুরা পাতা খেয়ে এখন তিনি পুরো সুস্থ। একই বক্তব্য তার প্রতিবেশী মর্জিনা বেগম (৭০) ও বেনেপুকুর গ্রামের হরিদাস সরকারেরও (৬০)

No comments